. মাটি পরীক্ষা
মাটি জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ন অতি বেশী বোঝা বাংঙ্গালী তা না বুঝলেও, একজন পূরকৌশল প্রকৌশলী অনেক ভালোভাবে অনুভব করতে পারেন….বাড়ি করার ক্ষেত্রে মাটি পরীক্ষা সবার আগে করা জরুরী….তাই আমি মাটি পরীক্ষা দিয়েই আলোচনা শুরু করতে চাই…..পর্যায়ক্রমে পূরকৌশল এর সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করার চেষ্ঠা করবো….. !!
মাটি পরীক্ষা নিয়ে ২টা পর্ব লিখবো…..!!
.
.
১ম পর্ব :
অনেকে মনে করেন মাটি পরীক্ষার আবার দরকার কি…… পাশের ভবন গুলো মাটি পরীক্ষা ছাড়াই দিব্যি দাড়িয়ে আছে….. কাজেই আমার অংশেও অসুবিধা হবেনা…. কিন্তু এ ধারণা ঠিক নয়….. মাটি পরীক্ষা করতে বেশী খরচ হয় না…. ৩/৫ কাঠায় ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে এটি করা সম্ভব…… মাটি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার আপনার বাড়ীর সঠিক ফাউন্ডেশন নির্ধান করবেন….. তাতে যে ফাউন্ডেশন হবে তারচেয়ে হয়তো আপনি না জনে আরও ভারী ফাউন্ডেশন করে ফেলবেন, তাতে অপচয় হবে…… আবার হালকা ফাউন্ডেশন করলে বাড়ীর নিরাপত্তা নষ্ট হবে….!!
রাজমিস্ত্রিরা সাধারণ এলাকা ভিত্তিক কাজ করে থাকেন….. আর যেহেতু তারা একটা নির্দিষ্ট এলাকায় অনেকগুলো বাড়ি নির্মাণের সাথে জড়িত থাকেন সেহেতু ঐ এলাকার মাটির প্রকৃতি সম্বন্ধে তাদের একটা ভাল ধরণা তৈরি হয় বলে তারা মনে করে…… যেমন বলা হয় উত্তরায় নাকি পাইলিং লাগে না, বসুন্ধরায় অবশ্যই পাইলিং লাগবে ইত্যাদি….আজ্জব সব ধারনা…. এই সব রাজমিস্ত্রির পরামর্শ মত অনেকেই ভাবেন সয়েল টেষ্ট করে অকারণে টাকা খরচ করবেন কেন, তার চেয়ে পাশের বাড়ির ফাউন্ডেশন যেভাবে হয়েছে সেভাবেই নিজের বাড়িটি করি…… কিন্তু এটা খুবই ক্ষতিকর চিন্তা ভাবনা…… কারণ মাটির নিচে কি আছে তা মাটি পরীক্ষা না করে আমরা কোনভাবেই জানতে পারবো না….. এমনও হতেআপনার জায়গায় পাইলিং করা লাগবে না…..তারপরও প্লীজ নিশ্চিত হওয়ার জ্ন্য করুন…… এতে প্রচুর টাকার অপচয় এমন তো না….টাকার থেকে জীবনের মূল্য অেক বেশী….. তাই বাড়ি নির্মাণকাজ শুরু করার পূর্বে সয়েল টেষ্ট অবশ্যই করাতে হবে। পাশের প্লটের মাটি ভাল হলেও আপনার প্লটে যে তেমনটি হবে, এমন কোন নিশ্চয়তা নেই…. তাই কেবলমাত্র নির্দ্ধিষ্ট প্লটের মাটি পরীক্ষা করেই বোঝা যাবে আপনার বাড়ীটিতে কোন ধরনের ফাউন্ডেশন হবে…. ফাউন্ডেশন কয়েক ধরনের হয়…. যেমন:-¯ প্রেড ফুটিং, ওয়াল ফাউন্ডেশন, পাইল ফুটিং, raft ফুটিং, ম্যাট ফাউন্ডেশন এবং কম্বাইন্ড ফুটিং… !!
ফাউন্ডেশন এর সমস্যার জন্য কোন কোন বাড়ীতে দেয়ালে ফাঁটল দেখা দেয়, বাড়ীর হেলে যাবার মত দুর্ঘটনা ও ঘটে…!!
তাই আগে থেকেই বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন…!!
সাইট পরিদর্শন :
সয়েল টেষ্ট করার পূর্বে সাইট পরিদর্শন করা উচিৎ…. এতে মাটির উপরিভাগের অবস্থা সম্বন্ধে সম্যক ধারণা পাওয়া যাবে এবং কিবাবে সয়েল টেষ্ট করা হবে তা নির্ধারণ করা যাবে….. সাইটে গিয়ে নিম্নলিখিতবিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে :
• এলাকার ভৌগলিক অবস্থা
• গর্ত আছে কিনা
• মাটি কেটে সরিয়ে নেয়া হয়েছে কিনা।
• ভূমি ধসের লক্ষণ আছে কিনা।
• আশপাশের পানির উচ্চতা (নদী কিংবা পুকুরের)।
• পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ইত্যাদি।
মাটি পরীক্ষার উদ্দেশ্য :
• সঠিক ফাউন্ডেশন ডিজাইন
• বাড়ির ষ্ট্রাকচারাল ডিজাইন
• নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণ
• বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ
• নির্মাণ পXতি নির্বাচন
মাটি পরীক্ষার ধারা :
১. সাইট/প্লট পরিদর্শন ও জরিপ করা।
২. ফিল্ডের অবস্থা অনুযায়ী বোরিং সংখ্যা ও স্থান নির্ধারণ করা এবং সেই অনুযায়ী বোরিং সম্পন্ন করা।
৩. প্রয়োজন অনুযায়ী বোরিং গভীরতা নির্ণয় করা।
৪. প্রত্যেক বোরিং গভীরতা নির্ণয় করা।
৫. বোরিং বা ড্রিলিং এর সাহায্যে ৫ ফুট অন্তর মাটির এস.পি.টি (S.P.T) ভ্যালু নির্ণয় করা এবং মাটির নিরাপদ ভারবহন ক্ষমতা (সেফ বেয়ারিং ক্যাপাসিটি) বের করা।
৬. ফিল্ড টেষ্ট এবং ল্যাব টেষ্টের ফলাফল বের করা।
৭. মাটি পরীক্ষার চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করা এবং সেই অনুযায়ী বাড়ির ফাউন্ডেশন সম্পর্কে মন্তব্য করা।
মাটি জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ন অতি বেশী বোঝা বাংঙ্গালী তা না বুঝলেও, একজন পূরকৌশল প্রকৌশলী অনেক ভালোভাবে অনুভব করতে পারেন….বাড়ি করার ক্ষেত্রে মাটি পরীক্ষা সবার আগে করা জরুরী….তাই আমি মাটি পরীক্ষা দিয়েই আলোচনা শুরু করতে চাই…..পর্যায়ক্রমে পূরকৌশল এর সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করার চেষ্ঠা করবো….. !!
মাটি পরীক্ষা নিয়ে ২টা পর্ব লিখবো…..!!
.
.
১ম পর্ব :
অনেকে মনে করেন মাটি পরীক্ষার আবার দরকার কি…… পাশের ভবন গুলো মাটি পরীক্ষা ছাড়াই দিব্যি দাড়িয়ে আছে….. কাজেই আমার অংশেও অসুবিধা হবেনা…. কিন্তু এ ধারণা ঠিক নয়….. মাটি পরীক্ষা করতে বেশী খরচ হয় না…. ৩/৫ কাঠায় ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে এটি করা সম্ভব…… মাটি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার আপনার বাড়ীর সঠিক ফাউন্ডেশন নির্ধান করবেন….. তাতে যে ফাউন্ডেশন হবে তারচেয়ে হয়তো আপনি না জনে আরও ভারী ফাউন্ডেশন করে ফেলবেন, তাতে অপচয় হবে…… আবার হালকা ফাউন্ডেশন করলে বাড়ীর নিরাপত্তা নষ্ট হবে….!!
রাজমিস্ত্রিরা সাধারণ এলাকা ভিত্তিক কাজ করে থাকেন….. আর যেহেতু তারা একটা নির্দিষ্ট এলাকায় অনেকগুলো বাড়ি নির্মাণের সাথে জড়িত থাকেন সেহেতু ঐ এলাকার মাটির প্রকৃতি সম্বন্ধে তাদের একটা ভাল ধরণা তৈরি হয় বলে তারা মনে করে…… যেমন বলা হয় উত্তরায় নাকি পাইলিং লাগে না, বসুন্ধরায় অবশ্যই পাইলিং লাগবে ইত্যাদি….আজ্জব সব ধারনা…. এই সব রাজমিস্ত্রির পরামর্শ মত অনেকেই ভাবেন সয়েল টেষ্ট করে অকারণে টাকা খরচ করবেন কেন, তার চেয়ে পাশের বাড়ির ফাউন্ডেশন যেভাবে হয়েছে সেভাবেই নিজের বাড়িটি করি…… কিন্তু এটা খুবই ক্ষতিকর চিন্তা ভাবনা…… কারণ মাটির নিচে কি আছে তা মাটি পরীক্ষা না করে আমরা কোনভাবেই জানতে পারবো না….. এমনও হতেআপনার জায়গায় পাইলিং করা লাগবে না…..তারপরও প্লীজ নিশ্চিত হওয়ার জ্ন্য করুন…… এতে প্রচুর টাকার অপচয় এমন তো না….টাকার থেকে জীবনের মূল্য অেক বেশী….. তাই বাড়ি নির্মাণকাজ শুরু করার পূর্বে সয়েল টেষ্ট অবশ্যই করাতে হবে। পাশের প্লটের মাটি ভাল হলেও আপনার প্লটে যে তেমনটি হবে, এমন কোন নিশ্চয়তা নেই…. তাই কেবলমাত্র নির্দ্ধিষ্ট প্লটের মাটি পরীক্ষা করেই বোঝা যাবে আপনার বাড়ীটিতে কোন ধরনের ফাউন্ডেশন হবে…. ফাউন্ডেশন কয়েক ধরনের হয়…. যেমন:-¯ প্রেড ফুটিং, ওয়াল ফাউন্ডেশন, পাইল ফুটিং, raft ফুটিং, ম্যাট ফাউন্ডেশন এবং কম্বাইন্ড ফুটিং… !!
ফাউন্ডেশন এর সমস্যার জন্য কোন কোন বাড়ীতে দেয়ালে ফাঁটল দেখা দেয়, বাড়ীর হেলে যাবার মত দুর্ঘটনা ও ঘটে…!!
তাই আগে থেকেই বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন…!!
সাইট পরিদর্শন :
সয়েল টেষ্ট করার পূর্বে সাইট পরিদর্শন করা উচিৎ…. এতে মাটির উপরিভাগের অবস্থা সম্বন্ধে সম্যক ধারণা পাওয়া যাবে এবং কিবাবে সয়েল টেষ্ট করা হবে তা নির্ধারণ করা যাবে….. সাইটে গিয়ে নিম্নলিখিতবিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে :
• এলাকার ভৌগলিক অবস্থা
• গর্ত আছে কিনা
• মাটি কেটে সরিয়ে নেয়া হয়েছে কিনা।
• ভূমি ধসের লক্ষণ আছে কিনা।
• আশপাশের পানির উচ্চতা (নদী কিংবা পুকুরের)।
• পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ইত্যাদি।
মাটি পরীক্ষার উদ্দেশ্য :
• সঠিক ফাউন্ডেশন ডিজাইন
• বাড়ির ষ্ট্রাকচারাল ডিজাইন
• নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণ
• বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ
• নির্মাণ পXতি নির্বাচন
মাটি পরীক্ষার ধারা :
১. সাইট/প্লট পরিদর্শন ও জরিপ করা।
২. ফিল্ডের অবস্থা অনুযায়ী বোরিং সংখ্যা ও স্থান নির্ধারণ করা এবং সেই অনুযায়ী বোরিং সম্পন্ন করা।
৩. প্রয়োজন অনুযায়ী বোরিং গভীরতা নির্ণয় করা।
৪. প্রত্যেক বোরিং গভীরতা নির্ণয় করা।
৫. বোরিং বা ড্রিলিং এর সাহায্যে ৫ ফুট অন্তর মাটির এস.পি.টি (S.P.T) ভ্যালু নির্ণয় করা এবং মাটির নিরাপদ ভারবহন ক্ষমতা (সেফ বেয়ারিং ক্যাপাসিটি) বের করা।
৬. ফিল্ড টেষ্ট এবং ল্যাব টেষ্টের ফলাফল বের করা।
৭. মাটি পরীক্ষার চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করা এবং সেই অনুযায়ী বাড়ির ফাউন্ডেশন সম্পর্কে মন্তব্য করা।